রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আরও ২১ লাশ হস্তান্তর
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ফরেনসিক প্রতিবেদনে ৪৫ জনের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্তের পর তাঁদের স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
হাসেম ফুডসের কারখানায় আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তাঁর চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গত ১০ জুলাই আবুল হাসেম, তাঁর চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাসেম ও তাঁর চার ছেলে জামিনে মুক্তি পান। হাসেম ফুডসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহান শাহ আজাদ, উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বর্তমানে কারাগারে।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় আগুনে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। নিহত তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকি লাশগুলো আগুনে এতটাই পুড়ে যায় যে দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরিচয় শনাক্ত না হওয়া লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়।